গফুর হালী মুখ্যত সহজাত কবি, সংগীত শিল্পী

0
50
গফুর হালীর ১০টি গানও যদি মানুষের মনে টিকে থাকে তিনি কালকে জয় করবেন উল্লেখ করে খ্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন বলেছেন, ঈশ্বরের প্রেম, মানবতার জয়গান, ভালোবাসার কথাই গফুর হালীর গানের মূল উপজীব্য। এগুলো রক্ষা করার ভার সবার ওপর।
চাটগাঁইয়া গানের কিংবদন্তি আবদুল গফুর হালীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সুফি মিজান ফাউন্ডেশন ও পিএইচপি ফ্যামিলি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে গফুর হালীর গানের স্বরলিপিকার আবদুর রহিম, কাবেরী সেনগুপ্তা, সৈয়দুল হক ও স্বর্ণময় চক্রবর্তী, শিল্পী কল্যাণী ঘোষ, গফুর হালীকে নিয়ে প্রথম ডকুমেন্টারি নির্মাতা শৈবাল চৌধুরীকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
ড. সেন বলেন, গফুর হালী মুখ্যত সহজাত কবি, সংগীত শিল্পী। তিনি গ্রামবাংলা থেকে উঠে এসেছেন। আমাদের মূল প্রাণ গ্রামে। সাধারণ মানুষের কাছে। উন্নত দেশে গ্রাম নেই। সেখানে আছে কান্ট্রি সাইড। ভারত বর্ষে ছয় লাখ গ্রাম আছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কবি-সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, সংগীত জাতি-ধর্ম-সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠে মানুষকে গুরুত্ব দেয়। নাগরিক জীবন কৃত্রিম। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও আরোপিত। পরীক্ষা কেন্দ্রিক শিক্ষা।আমি মনে করি সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধিতা তৈরি করছে নাগরিক জীবন ও শিক্ষা।
তিনি বলেন, গফুর হালী বিলীয়মান সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার করেছেন। কিন্তু উত্তরাধিকার তৈরি করে যেতে পারেননি। সংস্কৃতি জীবনচর্চার অংশ না হলে জাদুঘরে ঠাঁই পাবে। এখন মানুষের অন্তরে গান নেই, বাড়িতে গান নেই সুর বাজে না এটা আশঙ্কার বিষয়। তিনি গফুর হালী একাডেমিকে ভাব সংগীতের রত্নভাণ্ডার সংগ্রহ করার অাহ্বান জানান।
নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী বলেন, শিল্পী হতে হলে অকপট, সৎ ও সরল হতে হয়। গফুর হালীর এসব গুণ ছিল। অজস্র গানের বাইরে ছয়টি নাটক পেয়েছি গফুর হালীর কাছ থেকে।
বাংলা একাডেমির সহকারী পরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া বলেন, গফুর হালীর বাড়িতে তিন দিন থাকার সুযোগ হয়েছিল। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় টিন বাজিয়ে গান গেয়ে মানুষকে যুদ্ধে উদ্দীপ্ত করতেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাকে জনপ্রিয়