জিম্বাবুয়েকে ৬৮ রানের হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে এহিয়ে

0
108

মাশরাফির দুর্ধর্ষ পেস অ্যাটাকের পর আরাফাত সানির ঘুর্ণির ফাঁদে পা দিল জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানরা। মাশরাফির হাতেই ৪০ রানের মধ্যে পতন ঘটেছে ৩ উইকেটের। এরপর আরাফাত সানি ঘুর্ণি ফাঁদে ফেলে তুলে নিলেন চার উইকেট। ফলে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ৬৮ রানের হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে এহিয়ে গেল বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়র মিডল অর্ডারে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলরকে আউট করার পর শেষ দিকে এসে চিগুম্বুরাদের লেজ মুড়ে দিলেন আরাফাত সানি। পানিয়াঙ্গারা, নিয়াম্বু এবং কামুঙ্গোজিকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে বিশাল জয়ই এনে দিলেন সিলেটের স্পিনার আরাফাত।

বাংলাদেশের করা ২৫২ রানের চ্যালেঞ্জ তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে।শেষ পর্যন্ত মাত্র ৪৪.৫ ওভারেই ১৮৩ রান তুলতে সব কটি উইকেট হারায় এলটন চিগুম্বুরারা। ২৯ রান দিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৪ উইকেট তুলে নেন স্পিনার আরাফাত সানি। আর ৮ ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মাশরাফি।

শুরুতেই (প্রথম ভারে) শুন্য রানে মাসাকাদজাকে বোল্ড করেছিলেন মাশরাফি। এরপর ৩৭ রানে বোল্ড করলেন সিবান্দাকে। ৫০ রানে আরেক ওপেনার সিকান্দার রাজাকে মাহমুদুল্লাহর হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়েই ধ্বস নামিয়ে দেন অধিনায়ক মাশরাফি।

এরপর ১৯ বলে ৮ রান করে যখন উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছিলেন ব্রেন্ডন টেলর, তখনই সানির বলে রিভার্স সুইপ করতে হিয়েছিলেন টেলর। বল উপরের কানায় লেগে উইকেটরক্ষকের কাঁধের ওপর দিয়ে চলে যায় প্রথম স্লিপে। সেখানে দাঁড়ানো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের তালুবন্দি হয়ে যান টেলর।

৫০ রানে ৪ উইকেট পড়ে গেলেও পঞ্চম উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা কবলেন রেগিস চাকাভা এবং সলোম মিরে। ৬৫ রানের জুটিও গড়ে ফেলেছিলেন তারা। একই সঙ্গে সফরকারীদের প্রথম জয়ের পথেও অনেকটা টেনে নিয়ে গেছেন এই জুটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আল আমিনের পেসের সামনে আর টিকলো না জিম্বাবুয়ের এই জুটি।

আল আমিনের স্লোয়ার অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরে দিয়েই চলে যাচ্ছিল। কিন্তু ড্রাইভ করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মিড অফে মাশরাফির কাচে পরিণত হয়ে সাজ ঘরে ফিরে গেলেন রেগিস চাকাভা। ৫৩ বলে ৩২ রান করেন জিম্বাবুয়ের এই মিডল অর্ডার।

১১৫ রানে পাঁচ উইকেটের পতন ঘটালেও বিপদ কিন্তু মোটেও কাটেনি বাংলাদেশের। বরং, ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া সলোমন মিরেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল বাংলাদেশের জন্য। শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানের কাছেই উইকেট খোয়াতে হলো জিম্বাবুয়ের এই মিডল অর্ডারকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমে প্রথম অর্ধশতক পূরণ করেন ৭৮ বলে।

৭৯ বলে সাকিবের আর্মার বুঝতে না পেরে ড্রাইভ করতে যান সলোমন। কিন্তু ক্যাচ তুলে দেন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা আরাফাত সানির হাতে। সলোমনকে ১৪০ রানের মাথায় ৬ষ্ঠ উইকেট হিসেবে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরালেন সাকিব আল হাসান।

তবে সফকারীদের অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরা শেষ চেষ্টা করে দেখলেন দলকে জেতানোর জন্য। ৩১ বলে তার ৩৮ রান করাই প্রমান করে, কতটা বিধ্বংসী ছিলেন তিনি। অবশেষে দ্রুত রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে গেলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। রুবেল হোসেনের বলে মিড অফে ঠেলে দিয়েই একটি সিঙ্গেল তুলতে যান চিগুম্বুরা। ফিল্ডার ছিলেন সাব্বির রুম্মান। সরাসরি থ্রোতে আউট স্টাম্পে বল লগালেন তিনি। আউট হয়ে গেলেন চিগুম্বুরা।
৬৮ রানে জিতল বাংলাদেশ
অধিনায়কের রান আউট হওয়ার পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। পটাপট শেষ তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের ৬৮ রানের জয় এনে দিলেন আরাফাত সানি।