‘Annual Performance Management’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

0
99

সরকারী কর্মব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পাদিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে ‘Annual Performance Management’’ শীর্ষক এক কর্মশালা ১৪ নভেম্বর ২০১৮ তারিখ সকাল ৯ টায় উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি’র মাননীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, ইউজিসি’র সচিব ড. মো. খালিদ, ইউজিসি’র পরিচালক ড. মো. ফকরুল ইসলাম এবং ইউজিসি’র অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক জনাব রেজাউল করিম হাওলাদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) জনাব কে এম নূর আহমদ।
ইউজিসি’র মাননীয় চেয়ারম্যান তাঁর ভাষণে ওয়ার্কশপে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, তরুণ সমাজ আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এ অমূল্য মানব সম্পদকে শক্তিতে রূপান্তর করার লক্ষ্যে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিকতাপূর্ণ সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। দেশের বিশ^বিদ্যালয় সমূহে শিক্ষা-উচ্চশিক্ষা-গবেষণাসহ ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ইত্যাদির একটি রূপরেখা তুলে ধরে মাননীয় চেয়ারম্যান বলেন, বাঙালি বীরের জাতি, যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সাহস ও শক্তি বাঙালির রয়েছে। তিনি বলেন দেশের সাধারণ জনগণের অর্থে পরিচালিত বিশ^বিদ্যালয়গুলোকে সার্বিক অর্থে বরাদ্দকৃত অর্থ শুদ্ধাচারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের জন্য বাস্তবসম্মত যুগোপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং এর সফল বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, আমাদের মেধাবী তরুণদের বিশ^ায়নের পরিস্থিতি জানতে হবে এবং প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এজন্য তাদেরকে মেধা শক্তির বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে জ্ঞান সম্পদে আলোকিত হতে হবে।
মাননীয় উপাচার্য তাঁর ভাষণে সেমিনার আয়োজকবৃন্দকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান এবং সেমিনারে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করায় মাননীয় ইউজিসি চেয়ারম্যানেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষ ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণায় সাফল্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের নির্ভীক চেতনা সমুন্নত রাখতে দৃশ্যমান বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ এবং উন্নয়নের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার শিক্ষা দর্শন ‘আধুনিক বিজ্ঞানমনষ্ক গুনগত শিক্ষা’-কে সার্বিক ভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় আধুনিক কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ ও প্রায়োগিক অর্থে দৃশ্যমান অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। এর অদম্য অগ্রযাত্রার সুফল হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের। এ বিশ^বিদ্যালয়কে বিশ^মানের জ্ঞান-গবেষণার তীর্থ কেন্দ্রে রূপান্তর করতে মাননীয় উপাচার্য সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা, ইউজিসি কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা এবং বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতাবৃদ্ধি এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বলেন যেকোন দুর্নীতির বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণে প্রশাসন অঙ্গীকারাবদ্ধ।
এ কর্মশালার টেকনিক্যাল সেশনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন চবি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর এবং প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ড. মোহাম্মদ কমরুল হুদা, কেবিনেট ডিভিশনের উপ সচিব জনাব মো. কামরুল হাসান, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ডিভিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব জনাব মো. ফজলুর রহমান এবং ইউজিসি’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চবি ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) জনাব মো. ফরহাদ হোসেন খান। এ কর্মশালায় ১৫৪ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে চবি ডিনবৃন্দ, ইউজিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ, চবি শিক্ষক সমতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, প্রভোষ্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি এবং ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ এবং অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।