নেতাকর্মীরা টার্গেট কিলিংয়ের শিকার

0
50

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সাহসী নেতাকর্মীদের সরকার টার্গেট কিলিং করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রিয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন মিলনকে রিমান্ডে নিয়ে পাশবিক অত্যাচারের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। গত ৯ বছরে মিলনের মত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। গুম ও খুনের শিকার হয়েছে অসংখ্য নেতাকর্মী।

রোববার বিকেলে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগর বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান।

নাজিম বলেন, কেবল ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে বিরোধী দল ও মতকে দমন করতে এ পর্যন্ত সারা দেশে ৭৮ হাজার মামলায় ১৮ লাখের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তারপরও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অব্যাহত আছে।

নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ৩০ বছর ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। আজ তাকেও মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে একটি পরিত্যাক্ত কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, বেগম জিয়া চেয়েছিলেন দেশের মানুষকে আইনের শাসন, ভোটাধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার, কথা বলার স্বাধীনতা, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রাতষ্ঠা করতে। দেশের বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে প্রশাসনের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে বর্তমান অবৈধ সরকার হস্তক্ষেপ করেনি।

সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, সরকার দুদককে এখন বিরোধী দল দমনের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে আবারও প্রমাণ করলো তারা সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হাতিয়ার।

বাংলাদেশ ব্যাংক লুট হলো, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেল। অথচ দুদক এক্ষেত্রে মামলা করা তো দুরে থাক এদের বিরুদ্ধে একটা শব্দও মুখ থেকে বের হয় না। যেভাবে নিম্ন আদালতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, সেখানে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা খুবই ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় সেটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।