স্বাধীনতা পদক পেলেন ১ প্রতিষ্ঠানসহ ১৪ ব্যক্তি

0
75

স্বাধীনতা পুরস্কারজাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নৌবাহিনীকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নৌবাহিনীকে এ পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে গত ৭ মার্চ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৬ সালের স্বাধীনতা পদকের জন্য ১৫ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

দেশের সর্বোচ্চ এ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীতরা হলেন : প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে এই তালিকায় রয়েছেন বর্তমান সরকারের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য আরও যারা স্বাধীনতা পদক পেলেন এরা হলেন : মৌলভী আচমত আলী খান (মরণোত্তর), স্কোয়া্ড্রন লিডার (অব.) বদরুল আলম (বীর উত্তম), শহীদ শাহ আবদুল মজিদ (মরণোত্তর), শহীদ এম আবদুল আলী (মরণোত্তর), এ কে এম আবদুর রউফ, কে এম শিহাব উদ্দিন ও সৈয়দ হাসান ইমাম।

মাতৃভাষায় অবদান রাখার জন্য স্বাধীনতা পদক পেলেন রফিকুল ইসলাম (মরণোত্তর) ও আবদুস সালাম। সংস্কৃতিতে কবি নির্মলেন্দু, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। পাটের জীবন রহস্য আবিষ্কারের জন্য মরণোত্তর এই পদক পেয়েছেন বিজ্ঞানী অধ্যাপক মাকসুদুল আলম। চিকিৎসায় ডা. এম আর খান।

এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান এবং দেশের সমুদ্রসীমার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় নিরলস প্রয়াস চালানোর জন্য বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, দুই লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নৌ-বাহিনীর প্রধান বাহিনীর পক্ষে ভাইস অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং অন্যরা স্ব স্ব পুরস্কার গ্রহণ করেন।

মরণোত্তর পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে মরহুম মৌলভী আচমত আলী খানের পক্ষে তার ছেলে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, শহীদ শাহ আবদুল মজিদের পক্ষে তার ছেলে মামুন মাহমুদ শাহ, শহীদ এম আবদুল আলীর পক্ষে তার মেয়ে নাজমা আক্তার লিলি, মরহুম এ কে এম আবদুর রউফের পক্ষে তার স্ত্রী শাহানারা রউফ, মরহুম কে এম শিহাব উদ্দিনের পক্ষে তার ভাই ডা. কে এম ফরিদউদ্দিন, মরহুম রফিকুল ইসলামের পক্ষে তার স্ত্রী দিলরাজ বুলি ইসলাম এবং মরহুম অধ্যাপক মাকসুদুল আলমের পক্ষে তার স্ত্রী রাফিয়া হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করেন।

স্বাধীনতা পদক দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।