রোহিঙ্গা : চার হাজার ১৫৬ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

0
56

নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার চার হাজার ১৫৬ একর বনভূমি দখল ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৩৯৭ কোটি ১৮ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯৩ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের কারণে এই ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। তবে প্রতিদিনই রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছেই।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের নাগরিকদের চিহ্নিতকরণ সংক্রান্ত বিভাগীয় কমিটি’র তৃতীয় সভায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়।

দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।

সূত্র জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত বনভূমির মধ্যে উখিয়ার বালুখালী ঢালা ও ময়নারঘোনার ৩১০ একর সংরক্ষিত বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; যাতে ক্ষতি হয়েছে ২৭ কোটি ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৬৬টাকা, তাজনিমা খোলার ৪৫১ একর সংরক্ষিত বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ, যাতে ক্ষতির পরিমাণ ৪১ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার ৬৮২টাকা, মক্কারবিল, হাকিমপাড়া, জামতলী ও বাঘঘোনর ৫১৬ একর সংরক্ষিত-রক্ষিত বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাতে ক্ষতির পরিমাণ ৫৩ কোটি ৪২ লাখ ৫১ হাজার ৪০৮টাকা, শফিউল্লা কাটার ২০১ দশমিক ২০ একর সংরক্ষিত বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাতে ক্ষতির পরিমাণ ১৮ কোটি ৮৬ লাখ ৭৪ হাজার ৩৮১টাকা, বালুখালীর ৮৩৯ একর সংরক্ষিত বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাতে ক্ষতির পরিমাণ ৯৫ কোটি চার লাখ ৫৩ হাজার ৭৯০ টাকা, কুতুপালংয়ের এক হাজার ৪০১ দশমিক ৪০ একর সংরক্ষিত বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাতে ক্ষতির পরিমাণ ১২১ কোটি ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার ১৩৬ টাকা।

অন্যদিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং এর পুটিবুনিয়ার ৮৮ দশমিক ৬০ একর রক্ষিত বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাতে ক্ষতির পরিমাণ ৭ কোটি ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩২টাকা, কেরণতলী ও চাকমারকুলের ৭৯ দশমিক ৮০ একর সংরক্ষিত বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাতে ক্ষতির পরিমাণ

৬ কোটি ১৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩৪৪ টাকা, নয়াপাড়ার ২২৪ একর সংরক্ষিত বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাতে ক্ষতির পরিমাণ ২২ কোটি ৮ লাখ ১৫ হাজার ৪৮০টাকা, লেদার ৪৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাতে
ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি ৮২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৭৪টাকা।

বন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বছরের ২৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গারা দখল করেছিল ৬৯৫ একর এবং তার পর থেকে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই চার হাজার ১৫৬ একর বনভূমি রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।

তবে প্রধান বন সংরক্ষক চট্টগ্রাম অঞ্চল জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন বনভূমি জবরদখলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।