এ যেন সোনার হরিণ!

0
132

এ যেন সোনার হরিণ! কমলাপুরে দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঈদে বাড়ি ফেরায় ট্রেনের টিকিট পেয়ে এমন অনুভূতি প্রকাশ করেন একtikat তরুণ। অন্যদিকে আরেক তরুণের অভিযোগ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় এসেছেন। প্রায় ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষার পর টিকিট পেয়েছেন। কিন্তু কোনো কেবিন বা এসি প্রথম শ্রেণির টিকিট পাননি। এগুলো নাকি ভিআইপিদের জন্য বরাদ্দ। তাই বাধ্য হয়ে শোভন চেয়ারের টিকিট নিয়েছেন।
শুক্রবার সকাল ৯টার পর ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে ৭ নাম্বার টিকিট কাউন্টারে লাইনের প্রথমে থাকা যুবক রাজু হামিদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমি সিরিয়ালে প্রথমে ছিলাম, তাও কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেলাম না। তাহলে টিকিটগুলো গেল কোথায়?’ কাঙ্ক্ষিত টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ কেবল রাজু হামিদের নয়, এমন অভিযোগ ট্রেন স্টেশনে টিকিটের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকা আরো অনেকেরই।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আল আমিনের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার ইফতারের পর স্টেশনে এসেছেন তিনি। সারারাত স্টেশনেই কাটিয়েছেন। গাইবান্ধা যাবেন। তিনি শোভন চেয়ারের টিকিট চাইলেও আসন খালি না থাকায় শোভন সাধারণ শ্রেণির টিকিট নিতে হয়েছে।
গতকাল বেলা ২টা থেকে টিকিটের অপেক্ষায় থাকা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক আতাউর রহমান অভিযোগ করেন, ‘আমি সিরিয়ালে ৯ নাম্বারে ছিলাম। এসি টিকিট নিতে এসেছি। কাউন্টার থেকে জানাল, সব শেষ হয়ে গেছে। তাই শোভন চেয়ারের টিকিট নিলাম।’ আজগর আলী, কাওসারসহ আরো অনেকে কাঙ্ক্ষিত টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ করেন।
শুরুতেই কেবিন ও প্রথম শ্রেণির টিকিট শেষ হওয়ার ব্যাপারে কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক খায়রুল বশিরের ভাষ্য, প্রতিটি ট্রেনে একটি করে কেবিন ও এসি প্রথম শ্রেণির কোচ থাকে। এ ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ এসএমএস ও ই-টিকিট, ৫ শতাংশ ভিআইপি ও ৫ শতাংশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ থাকে। বাকি ৬৫ শতাংশ টিকিট সাধারণ যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ। এ ক্ষেত্রে একসঙ্গে বিভিন্ন কাউন্টার থেকে টিকিট দেয়ায় কোনো কোনো কাউন্টারে টিকিট-স্বল্পতা দেখা দিতে পারে।
খায়রুল বশীর জানান, যাত্রী পরিবহনের সুবিধার্থে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রায় সব কয়টি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-পার্বতীপুর, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ ও ঢাকা-খুলনা রেলপথে অতিরিক্ত তিনটি ট্রেন সংযোজন করা হয়েছে। এগুলো ঈদের তিন দিন আগে থেকে শুরু হয়ে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ও ঈদের পরদিন থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-পার্বতীপুর পাঁচ দিন এবং ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ ও ঢাকা-খুলনা সাত দিন চলবে।
গতকাল বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আবু তাহের গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে যান। তিনি অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এ সময় প্রথম শ্রেণির আসন শেষ হওয়ার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেবিন ও এসি প্রথম শ্রেণির টিকিট সীমিত হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তবে এত দ্রুত শেষ হওয়ার কথা নয়।’ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অগ্রিম টিকিট
কমলাপুর রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গতকাল থেকে আন্তঃনগর ও ঈদ-স্পেশাল ট্রেনের অগ্রিম টিকিট দেয়া শুরু হয়েছে। ৩০ জুলাই পর্যন্ত এই টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। গতকাল ৪ আগস্টের টিকিট দেয়া হয়। এ ছাড়া আজ ৫ আগস্টের, ২৮ জুলাই ৬ আগস্টের, ২৯ জুলাই ৭ আগস্টের এবং ৩০ জুলাই ৮ আগস্টের অগ্রিম টিকিট দেয়া হবে।
টিকিট দিতে ধীরগতি
কাউন্টার থেকে ধীরগতিতে টিকিট দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন লাইনে অপেক্ষমাণ অনেকে। লিমন জানান, লাইনে দাঁড়ানোর পর স্টেশন থেকে একটি চাহিদাপত্র দেয়া হচ্ছে। এতে যাত্রীর তথ্য লিখে টিকিট কাটার সময় কাউন্টারে জমা দিতে হচ্ছে। এরপরও টিকিট দিতে অনেক দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়ে স্টেশন ব্যবস্থাপক খায়রুল বশীর বলেন, একটি টিকিট দিতে বেশকিছু প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়। তাই একটু সময় লাগতেই পারে।
আলাদা নারী কাউন্টার
কমলাপুর রেলস্টেশনে নারীদের অগ্রিম টিকিট দেয়ার জন্য একটি আলাদা কাউন্টার খোলা হয়েছে। নারী কাউন্টারে সকালে কিছুটা ভিড় লক্ষ করা গেলেও বেলা ১১টার দিকে ফাঁকা হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন নুরজাহান বেগম। তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় বাসে চট্টগগ্রাম যেতে যানজটের কারণে অনেক সময় লাগে। তাই ট্রেনের টিকিট নিলাম।’
মানুষের চাপ কম
ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট নেয়া মানুষের চাপ কম বলে জানিয়েছেন স্টেশনে কর্মরত নিরাপত্তাকর্মীরা। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার আমিনুল হক বলেন, ‘এবার টিকিট নেয়া মানুষের চাপ তুলনামূলকভাবে কম। তবে ভিড় বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।’ টিকিট কাটা নিয়ে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
বাসের টিকিটের জন্য প্রচ- ভিড়
রাজধানীর গাবতলী। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা। এসআর পরিবহনের কাউন্টারে তালা খুলে কর্মচারীরা প্রবেশ করলেন টিকিট কাউন্টারে। তবে টিকিটপ্রত্যাশীরা লাইনে দাঁড়িয়েছেন ছয় ঘণ্টা আগেই। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে কুছ পরোয়া নেহি। এ মুহূর্তে দুনিয়া উল্টে গেলেও যেন তারা মালুম করবেন না। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সবাই। কখন হাতে আসবে টিকিট নামের সেই সোনার হরিণ।
এ টিকিট যে সে টিকিট নয়। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার বাসের টিকিট। এর মধ্যে টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন কাউন্টার থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে চলে গেছে। এভাবেই গতকাল থেকে শুরু হয়েছে রাজধানীর বাইরে বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে আকাঙ্ক্ষী মানুষের টিকিট কেনার লড়াই।
একমাত্র ভুক্তভোগীরাই হাড়ে হাড়ে জানেন এ টিকিট কাটার ঝক্কি কেমন। এরপরও আপনজনদের নিবিড় সানি্নধ্যে গিয়ে ঈদ উদযাপনের টান অনেকে উপেক্ষা করতে পারেন না।
শুধু এসআর পরিবহন নয়, অনেক বাসের টিকিট কাউন্টারের সামনে এখন দীর্ঘ সারি। কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীদের অনেকের অভিযোগ, নির্ধারিত মূল্যের বাইরে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া বেশির ভাগ টিকিট পরিবহনের সংশ্লিষ্টরা নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছেন।
টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থাপকরা বরাবরের মতো এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গাইবান্ধার রায়হানুল ইসলাম বলেন, ‘সেহরির পর রায়েরবাজারের বাসা থেকে রওনা দিয়ে ভেবেছিলাম আমি সবার আগে দাঁড়াব। কিন্তু প্রথম লাইনের প্রথম ব্যক্তিটি নাকি রাত ১টায় দাঁড়িয়েছেন। তবে ওই ব্যক্তিটিই সকাল ৯টার সময়ও টিকিট হাতে পাননি!’
ঘণ্টাখানেক পেরিয়ে গেলেও উত্তরাঞ্চলগামী এসআর পরিবহনের টিকিট বিক্রি শুরু করেনি অভিযোগ করে রায়হান জানান, সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু করার সময়সূচি টাঙানো আছে।
রায়হানের পেছনে থাকা সজল বলেন, ‘কাউন্টার থেকে যাত্রীদের ভুল তথ্য দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে কল্যাণপুর চলে যান, ওখানে টিকিট পাবেন।’
লাইনে দাঁড়ানো আরো অনেক যাত্রী অভিযোগ করেন, টিকিটপ্রতি প্রায় ৫০ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে। গাইবান্ধার একটি টিকিট স্বাভাবিক সময়ে ৪৮০ টাকায় পাওয়া যেত। এখন সেটি ৫২০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসআর পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা মো. আলাল জানান, তারা বিআরটিএর নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী টিকিট বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, ‘আজই ঈদের সব টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে যাবে। দেখছেন না কত বড় লাইন?’
এসআর পরিবহনের পাশে থাকা সিরাজগঞ্জ ও পাবনাগামী আল হামরা পরিবহনের কাউন্টারের সামনেও একই দৃশ্য দেখা যায়। টিকিটপ্রত্যাশী যাত্রীরাও একই অভিযোগ করেন। বিক্রেতারা এসব অভিযোগ অস্বীকারও করলেন একইভাবে।
কল্যাণপুরে দক্ষিণাঞ্চলে খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরাগামী পরিবহনগুলোর ঈদের টিকিটের মূল্য অন্য সময়ের চেয়ে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ কে ট্রাভেলসের টিকিট কিনে শাকিল আহমেদ জানান, চেয়ার কোচের ৫০০ টাকার টিকিটের দাম রাখা হচ্ছে ৬৫০ টাকা। শীতাতপ আসনের ৯৫০ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা।
এ ব্যাপারে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন সড়কপথের পরিবহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, অন্য সময় নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম মূল্য রাখা হয়। ঈদের সময় তো লোকসান দিয়ে টিকিট বিক্রি করা যায় না। তা ছাড়া ওপার থেকে তো প্রায় যাত্রীশূন্য হয়ে বাসটি ঢাকায় আসবে।
চট্টগ্রামে রেল ও বাসের
টিকিট বিক্রি শুরু
চট্টগ্রাম অফিস জানায়, চট্টগ্রামে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে রেল এবং দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ৬৩ রুটের বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। চট্টগ্রাম থেকে এবার প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে রেল। আগেভাগে টিকিট সংগ্রহ করতে রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেলেও বাস কাউন্টারগুলোতে ছিল কম।
সূত্র জানায়, ৫০ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত চট্টগ্রাম মহানগরীর বাসিন্দাদের প্রায় অর্ধেকই স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে যান। যাত্রী হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রবণতা বন্ধে এবার আগেভাগে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে বলে জানান পরিবহন নেতারা। পথের ঝক্কি এড়াতে অনেকে আগেভাগে বাড়ির পথ ধরেন। অগ্রিম টিকিট বিক্রির পেছনেও এটিও অন্যতম কারণ। চট্টগ্রাম পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, যাত্রী সাধারণের কথা চিন্তা করে ঈদের প্রায় দুই সপ্তাহ আগে শুক্রবার থেকে দূরপাল্লার বাসের অগ্রিম টিকিটি দেয়া হচ্ছে। মালিকপক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত আসার পর পরিবহন কাউন্টারগুলোও সে অনুযায়ী কাজ করছে। তবে কয়েকটি পরিবহন প্রতিষ্ঠান একটু আগেভাগে টিকিট বিক্রি করছে।
এদিকে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড়ের সুযোগে মহাসড়কগুলোতে চাঁদাবাজি এবং ডাকাতি বন্ধে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আকতার বলেন, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি টহলও বাড়ানো হয়েছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক মহাসড়কগুলোতে অতিরিক্ত ৪০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।
রেলসূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধার্থে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত আন্তঃনগর ও বিশেষ ট্রেনের টিকিট বিক্রি করবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্র জানায়, প্রতি বছরের মতো এবারো ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট যাত্রার দিনের ট্রেনের সব শ্রেণির অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার বিক্রি হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের টিকিট। আজ শনিবার বিক্রি হবে ৫ আগস্টের টিকিট, ২৮ জুলাই বিক্রি হবে ৬ আগস্টের, ২৯ জুলাই ৭ আগস্টের এবং ৩০ জুলাই বিক্রি করা হবে ৮ আগস্টের টিকিট।
এছাড়া ১১ আগস্ট যাত্রার টিকিট ২ আগস্ট, ১২ আগস্ট যাত্রার টিকিট ৩ আগস্ট, ১৩ আগস্ট যাত্রার টিকিট ৪ আগস্ট, ১৪ আগস্ট যাত্রার টিকিট ৫ আগস্ট এবং ১৫ আগস্ট যাত্রার টিকিট ৬ আগস্ট বিক্রি করা হবে।
রেলওয়ের চট্টগ্রাম স্টেশন ম্যানেজার শামসুল আলম বলেন, ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগির পাশাপাশি চাঁদপুরে ২টি স্পেশাল ট্রেন চলবে। এই ট্রেন দুটি ঈদের পর আরও ৭দিন চলবে। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট নিতে পারবেন। তিনি বলেন, প্রকৃত যাত্রীরা যাতে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন সে লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন ১৫টি ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী পরিবহন করবে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার যাত্রী ট্রেনে করে গন্তব্যে যেতে পারবে।’
ঢাকা-বরিশাল রুটে চালু দিবা লঞ্চ সার্ভিস
বরিশাল অফিস জানায়, বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে ঈদের আগে আগামী ২৫ রমজান থেকে চালু হচ্ছে দিবা লঞ্চ সার্ভিস। লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান রিন্টু জানিয়েছেন, যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টায় ঢাকা থেকে একটি বরিশালের উদ্দেশে এবং বরিশাল থেকে একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এছাড়াও দিবা সার্ভিসে বরিশাল-ঢাকা রুটের বে-ক্রুজ লঞ্চ খুব শীঘ্রই আবার চালু হবে বলে জানান তিনি। দিবা সার্ভিসের লঞ্চ ২টি হলো এমভি প্রিন্স আওলাদ-৪ এবং এমভি সম্রাট-২। ঢাকার লামিয়া এন্টারপ্রাইজ এই সার্ভিস পরিচালনা করবেন।
মালিক মো. প্রিন্স আওলাদ জানান, লঞ্চ চলাচলের জন্য মালিক সমিতি ও বিআইডবিস্নউটিএ অনুমতি দিয়েছে। এ লঞ্চ ২টি প্রতি ট্রিপে ৫০০ জন করে যাত্রী বহন করতে সক্ষম। এতে ৮০টি করে কেবিন রয়েছে। তুলনামূলক যাত্রীভাড়া অন্য লঞ্চের চেয়ে কিছু কম নেয়া হবে।
বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা মো. শহিদুউল্যাহ জানান, লঞ্চ মালিক সমিতির সুপারিশে নৌরুটে যে কোনো লঞ্চ চলাচল করতে পারবে। এতে বিআইডবিস্নউটিএর কোনো বাধা নেই। তিনি আরো জানান, মেরামতের জন্য ডক ইয়ার্ডে থাকা দিবা নৌ-সার্ভিস বে-ক্রুজ দুই একদিনের মধ্যে চালু হবে। বে-ক্রুজ প্রতিদিন সকাল ৭টায় বরিশাল বন্দর থেকে এবং দুপুর ২টায় ঢাকা নৌবন্দর থেকে ছেড়ে আসবে।