সোমবার থেকে মাদ্রিদে লকডাউন

0
72

ইউরোপে আবার দ্রুতগতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এর প্রেক্ষিতে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের অংশবিশেষে আরোপ করা হচ্ছে লকডাউ। ফলে সোমবার থেকে মাদ্রিদের ৮ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারবেন না। ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দেয়া হচ্ছে। একসঙ্গে বেশি মানুষ একত্রিত হতে পারবেন না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, ইউরোপে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ হয়েছে স্পেনে। আবারও মাদ্রিদ সবচেয়ে আক্রান্ত এলাকায় পরিণত হয়েছে।
উত্তর গোলার্ধের এসব দেশের বেশির ভাগই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করছে। অন্যদিকে সেখানে আস্তে আস্তে শীতকাল এগিয়ে আসছে। ফলে সংক্রমণ আরো মারাত্মক রূপ নিতে পারে। এ অবস্থায় মানুষজন ঘরের বাইরে চলাচল করলে তাতে আরো কঠিন অবস্থা হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর ইমার্জেন্সি স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচির প্রধান ড. মাইক রায়ান বলেছেন, সংক্রমণ বিস্তার রোধে আরো অনেক কাজ করতে হবে। এই মহামারিকে দমিয়ে রাখতে হবে। স্কুল খুলে দেয়ার বিষয়ে নিরাপত্তা আনতে হবে। সমাজের সবচেয়ে বিপন্ন মানুষগুলোকে সুরক্ষা দিতে হবে।
করোনা মহামারি শুরুর পর প্রতিদিনের হিসেবে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ফ্রান্সে। সেখানে প্রতি ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০০ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ২১৫। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন ফরাসি অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লা মেইর। তার কোনো লক্ষণ দেখা যায় নি। তবে পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পদে। এ অবস্থায় মার্সেইলি, নাইস সহ বেশ কিছু শহরে কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হচ্ছে।
ওদিকে বৃটেনে শুক্রবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩২২ জন। মারা গেছেন ২৭। ৮ই মে’র পরে এটা সর্বোচ্চ সংখ্যা। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দ্বিতীয় করোনা সংক্রমণ অনিবার্য বলে সতর্কতা দিয়েছেন। ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ অংশ এখন বড় রকমের লকডাউনের মধ্যে রয়েছে।
আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে ইনডোর রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। অপ্রয়োজনে সকল প্রকার ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ডেনমার্কে ১০০ মানুষের জমায়েত অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কমিয়ে এখন ৫০ করা হচ্ছে। বার ও রেস্তোরাঁ’কে আগেভাগে বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিকে সপ্তাহান্তে বিনোদনকেন্দ্র ও পাব-গুলো বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।