মিনুকে আদালতে তোলা হয়েছে

0
92

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলি সাজা ভোগ করা মিনুকে আদালতে তোলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকালে অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতের খাসকামরা তোলা হয় তাকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের পেশকার মো. ওমর ফুয়াদ। তিনি জানান, আদালতে জেলখানার ছবি সম্বলিত রেজিস্টার খাতা উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত মিনুসহ জেলখানার রেজিস্টার খাতা দেখে আদেশের অপেক্ষায় রেখেছেন।

সূত্র জানায়, একটি হত্যা মামলায় আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেন কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে। আর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল খাটছেন মিনু। নামের মিল না থাকলেও মিনুকে কুলসুম আক্তার কুলসুমী বলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয় গত ২ বছর ৯ মাস ১০ দিন। বিষয়টি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান আদালতের নজরে আনেন।

সোমবার (২২ মার্চ) সকালে অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে পি, ডব্লিউ মূলে মিনুকে আদালতে হাজির করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, কোতোয়ালী থানার মামলা নম্বর ০৯(৭)০৬ ও জি আর-৪৫৯/০৬। মামলার দায়রা নম্বর ৫৯০/০৮। নগরের কোতোয়ালী থানার রহমতগঞ্জে একটি বাসায় ২০০৬ সালের জুলাইতে একটি বাসায় মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টস কর্মী কোহিনূর আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর রহমতগঞ্জে একটি গাছের সাঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পারভিন আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন গার্মেন্টস কর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। এরপর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। মামলায় পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে হত্যা করা হয়েছে রিপোর্ট দিলে হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়। গত ২০১৭ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম পারভিন হত্যা মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড আদেশ দেন। সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলি মিনু গত ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান। গত ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান নারী ওয়ার্ড পরিদর্শকালে মিনু কোনো মামলার আসামি নয় বলে জানান।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, কারাগারের সংরক্ষিত হাজতি রেজিস্টার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সূত্রস্থ মামলা সংক্রান্ত হাজতি নম্বর ১৫৭১৯/০৭ কুলসুম আক্তার, স্বামী ছালে আহম্মেদ নামীর বন্দি বিজ্ঞ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন হাজতের পরোয়ানামূলে গত ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর কারাগারে আসেন। তিনি কারাগারে প্রায় ১ বছর তিন মাস ছিলেন। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ চতুর্থ আদালত ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জামিন মঞ্জুর করেন। ওই দিন কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন কুলসুম আক্তার কুলসুমী।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার গৌরস্থান মাঝের পাড়া আহাম্মদ মিয়ার বাড়ির আনু মিয়ার মেয়ে কুলসুম আক্তার কুলসুমী। বর্তমান ঠিকানা কোতোয়ালী থানার রহমতগঞ্জ সাঈদ ডাক্তারের ভাড়া বাড়ি।