দেশের সব শপিংমল ও দোকানপাট খুলতে চান ব্যবসায়ীরা

0
74

আগামী বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে দেশের সব শপিংমল ও দোকানপাট খুলতে চান ব্যবসায়ীরা। তবে তা কোনোক্রমেই সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে নয়। সরকারের অনুমতি পেলেই তারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলবেন। এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।

মঙ্গলবার রাতে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যক্রম ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও আগামীকাল বুধবার (৭ এপ্রিল) থেকে ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এমন অবস্থায় শপিংমল ও দোকানপাট খোলার অনুমতি না দিলে এই শ্রেণির মানুষ না খেয়ে মরে যাবে।’

এসব কারণেই তারা আগামী বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে শপিংমল ও দোকানপাট খুলতে চান। এখন সরকারি সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন ব্যবসায়ীরা।

হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি সংবলিত চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউসের সঙ্গে পরামর্শ করেছি। দাবির সারংশটুকু লিখে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষুদে বার্তাও পাঠিয়েছি।’

দোকান মালিক সমিতির সভাপতি জানান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চিঠিতে তারা ক্ষুদ্র, পাইকারি, খুচরা মার্কেট ও দোকান আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে খোলা রাখার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।

হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। সরকারি অনুমতি ছাড়া আমরা কোনও হঠকারি সিদ্ধান্তে দোকান খুলবো না। আমি বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী বাস্তবতা অনুধাবন করে সঠিক সিদ্ধান্তটি দেবেন।’

তিনি বলেন, ‘দোকান খোলার দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে আন্দোলন বা বিক্ষোভ হচ্ছে এই বিক্ষোভ বা আন্দোলনের মধ্যে যেকোনও শ্রেণির দুর্বৃত্ত প্রবেশ করে নাশকতা করতে পারে।’ বিষয়টি আইজিপিসহ পুলিশ কমিশনারকেও জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হেলাল উদ্দিন।

উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ বাড়ায় গত সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে সরকার। এর আওতায় নিত্যপণ্য, ফার্মেসি (ওষুধের দোকান) ছাড়া সব ধরনের শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে।