মশার ওষুধ যাচাইয়ে চবি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক মেয়র রেজাউলের

0
80

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আমাদের মেধাবী সন্তানরা বিদেশে গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞান অর্জন ও সনদপ্রাপ্ত হলেও অত্যাধুনিক ল্যাব ও পরীক্ষাগার না থাকায় এদেশে তা প্রয়োগ করতে পারছেন না। এতে তাদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হচ্ছে না।

ফলে মেধাবী সন্তানদের সঠিক পরিচর্যার অভাবে সমগ্র জাতি বঞ্চিত হচ্ছে। তাই মেধাবীদের অর্জন ও কাজের মূল্যায়নের অনুকূল ক্ষেত্র তৈরি করতে অত্যাধুনিক ল্যাব ও পরীক্ষাগারের অবকাঠামো নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকারকেই ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে হবে।
রোববার (১৬ মে) সকালে মেয়রের দফতরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আখতারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন মেয়র।

নগরে মশকনিধনে যে সব তরল ওষুধ বা পাউডার ছিটানো হয় তার কার্যকারিতা যাচাইয়ে চবি উপাচার্যের নেতৃত্বে যে টিম গঠন করা হয়েছে তার প্রতিবেদন পাওয়া মাত্রই চসিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আশাকরি এ টিমের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে যে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তার সুফল অবশ্যই পাওয়া যাবে এবং তাদের পরামর্শ ও সুপারিশ কাজে লাগিয়ে মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনায় সফলতা নিশ্চিত হবে।

উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আখতার মেয়র মহোদয়কে অবহিত করেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে সব শিক্ষক ও ছাত্র বিদেশে গবেষণা ও পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরেছেন তাদের মেধা বিকাশ ও অর্জিত অভিজ্ঞান কাজে লাগাতে উপযুক্ত পরিবেশ ও অবকাঠামো থাকা খুবই প্রয়োজন। এই আবশ্যকতা পূরণে জনপ্রতিনিধিদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।

তিনি বলেন, মশকনিধন কার্যক্রম জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এ জন্য মশকনিধনের ওষুধ বা তরল প্রতিষেধকের কার্যকারিতা যাচাইয়ে যে দায়িত্ব আমার নেতৃত্বাধীন টিমকে দেওয়া হয়েছে তা পালনে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।

সাক্ষাৎকালে মশকনিধন ওষুধের কার্যকারিতা নির্ণয়ে গঠিত চবি টিমের কার্যক্রম পরিচালনায় একটি বাজেট মেয়রকে দেওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াসউদ্দীন, কাউন্সিলর মো. নুরুল আমিন, চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মুনিরুল হাসান, সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক রাসেল, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মো. শহীদুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর মো. ইয়াকুব, সহকারী অধ্যাপক কাজী মুহাম্মদ নুর সোহাদ প্রমুখ।