প্রতিটি ইউনিয়নে বসতবাড়ির অব্যবহৃত জমিতে ১০০টি করে পুষ্টি বাগান হবে

0
131

দেশে প্রায় দুই কোটি ৫৩ লাখ বসতবাড়ি রয়েছে। এসব বাড়ির অধিকাংশ জায়গা পতিত পড়ে থাকে। আবার অনেকে কিছু শাকসবজি আবাদ করলেও বেশির ভাগই হয় অপরিকল্পিত। ফলে এসব জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে না।

ঠিক এসব জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতেই এবার কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বসতবাড়ির অব্যবহৃত জমিতে ১০০টি করে পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হবে। এতে সারা দেশে প্রায় পাঁচ লাখ সবজি, ফল ও মসলা জাতীয় ফসলের পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপিত হবে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল-বিএআরসি আয়োজিত এক কর্মশালায় ওই প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। তাতে জানানো হয় ‘পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৪৩৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। সফলভাবে এটি বাস্তবায়ন করতে পারলে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি পারিবারিক শাকসবজি ও পুষ্টিচাহিদা পূরণ হবে।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে পারিবারিক পর্যায় নিরাপদ মানসম্মত শাকসবজি, মসলা ও মৌসুমি ফল উৎপাদনে সহায়ক হবে। উৎপাদিত ফসল দ্বারা পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কৃষক-কৃষাণীর আয় বৃদ্ধি পাবে।

এ ছাড়া, মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্য ১০০টি কমিউনিটি ভিত্তিক ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদন পিট স্থাপন করা হবে। উৎপাদিত ভার্মিকম্পোস্ট নিরাপদ ফসল উৎপাদনে ব্যবহৃত হবে এবং গ্রামীণ কৃষকদের আয়বর্ধক কাজে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া, কৃষক-কৃষাণীদের প্রশিক্ষণ ও কৃষক গ্রুপ পর্যায়ে ক্ষুদ্র কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে।

ইতিমধ্যে, এ প্রকল্পের আওতায় সবজি সংরক্ষণের জন্য ক্ষুদ্র আকারে দেশজ পদ্ধতির বিদ্যুৎবিহীন ৬৪টি কুল চেম্বার স্থাপন করা হয়েছে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মো. আবদুর রৌফ, বিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার বক্তব্য রাখেন। প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক মো. মাইদুর রহমান।