অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। করোনা ভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে বিশ্ব যখন লড়াই করছে, তখন তিনি কোম্পানির রাজত্ব তুলে দিলেন অ্যান্ডি জেসি’র হাতে। অ্যান্ডি জেসি এতদিন অ্যামাজনের ক্লাউড-কমপিউটিং বিজনেস দেখাশোনা করতেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। অ্যামাজনে জেফ বেজোসের রয়েছে সবচেয়ে বেশি শেয়ার। এর মূল্য প্রায় ১৮০০০ কোটি ডলার। এর ফলে ১৯৯৫ সালে নিজের সিয়াটলের বাসার গ্যারেজে যে কোম্পানির সূচনা করেছিলেন, তার ওপর থাকবে তার আধিপত্য। তিনি এখন নির্বাহী চেয়ারের দায়িত্ব পালন করবেন।
এর ফলে নতুন পণ্য এবং উদ্যোগের বিষয় দেখাশোনা করবেন। অন্যদিকে অ্যান্ডি জেসি ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলারের অ্যামাজন পরিচালনা করবেন, যা করোনা মহামারির সময় ব্যাপকভাবে সুবিধা ভোগ করেছে। এ বছরের প্রথম চতুর্ভাগে এই কোম্পানির লাভ তিনগুনের বেশি অর্জিত হয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয় করেছে। কারণ, এ সময়ে কাস্টমাররা অনলাইনে কেনাকাটার ওপর জোর দিয়েছেন বেশি।
এ বছর সহকর্মীদের উদ্দেশে জেফ বোজোস একটি ব্লগ পোস্ট দেন। তাতে তার ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা বলেন। বলেন, মহাকাশ বিষয়ক কোম্পানি ব্লু অরিজিন, ওয়াশিংটন পোস্ট দেখাশোনা করবেন। এসব খাতেই তিনি বেশি সময় দিতে চান। ওদিকে বিখ্যাত ফরবিস ম্যাগাজিনের শীর্ষ ধনী তার শৈশবের মহাকাশ যাত্রার স্বপ্ন পূরণ করতে যাচ্ছেন। জেফ বেজোসের বয়স এখন ৫৭ বছর। আগামী ২০ শে জুলাই তার মহাকাশ যাত্রায় যাওয়ার কথা রয়েছে। ওইদিন একজন ক্রু, জেফ বেজোসের ছোট ভাই মার্ককে নিয়ে ব্লু অরিজিন প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করার কথা।
জেফ বেজোস অনলাইন বইয়ের লাইব্রেরি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অ্যামাজন। আস্তে আস্তে তিনি একে শপিং এবং বিনোদন সাম্রাজ্যে পরিণত করেন। ওয়ালমার্টের পরই যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় এই কোম্পানি। সর্বশেষ বড় উদ্যোগের মধ্যে অ্যামাজন কিনে নিয়েছে এমজিএম মুভি স্টুডিও। এখন তারা ছবি নির্মাণ এবং সোফা নির্মাণ করছে। আছে নিজস্ব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চেইন। পরিকল্পনা রয়েছে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সার্ভিস প্রতিষ্ঠার।