বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় তিন লক্ষ লোক জলাতঙ্কের প্রতিষেধক গ্রহণ করে

0
147

বিশ্ব জলাতংক দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বিআইটিআইডি’র র‌্যালি ও আলোচনা সভা
dr.t
বিশ্ব জলাতংক দিবস ২০১৩ উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার রোগী জলাতঙ্ক রোগে মৃত্যুবরণ করেন এবং প্রায় তিন লক্ষ লোক জলাতঙ্কের প্রতিষেধক গ্রহণ করে। মূল প্রবন্ধে প্রাবন্ধিকদ্বয় বলেন, জলাতঙ্ক এমন একটি ব্যাধি যাতে আক্রান্ত হলে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবি। আমাদের দেশে মূলত কুকুরের কামড়েই জলাতঙ্ক রোগ হয়। এছাড়া বিড়াল, শিয়ালসহ অন্যান্য বন্য প্রাণির দংশনেও এ রোগ হতে পারে। হিং¯্র জন্তুর কামড়ের পর জলাতঙ্ক সংক্রমন প্রতিরোধের একমাত্র উপায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, জরুরী ভিত্তিতে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক গ্রহণ করা।
সভাপতির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বিশিষ্ট ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আবু তৈয়ব বলেন, অচিরেই বিআইটিআইডিতে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক সরকারিভাবে বিনা খরচে সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ)-এর সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।
বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর, শনিবার সকাল ১০টায় ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-এর উদ্যোগে একটি জনসচেতনতামূলক র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “জলাতঙ্ককে জানুন এবং নির্মূল করুন”। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. মো. আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রশীদ এবং ডা. রুমানা রশীদ।
অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ডা. গোলাম হাবিব, ডা. মাহমুদ হাসান আরিফ, ডা. নাঈমা তাসনিম, ডা. মাকসুদা বেগম, ডা. ফিরোজ খান প্রমুখ।